Ashraf’s Column

Tuesday, March 25, 2014

ক্যাডেট কলেজের টুকরো স্মৃতি: ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ: পর্ব ৪: সেকুলারিজম নিয়ে বিভ্রান্তি

পেরেন্টস ভিজিটিং ডে’তে অফিসে বসে আছি। অভিভাবকরা এক এক করে আসছেন। কেউ আসছেন শুধু শুভেচ্ছা জানাতে। কেউ আসছেন নিজ ছেলের কোনো সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে। কেউ বা আসছেন কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে তা প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানাতে। নানা বয়সের, নানা পেশার, নানা ব্যাকগ্রাউন্ডের লোক আসছেন। প্রত্যেকে আমার সম্মানিত ক্লায়েন্ট। সেভাবেই সবার সাথে কথা বলে আসছিলাম। হঠাৎ করে এক ভদ্রলোক কিছুটা উত্তেজিত অবস্থায় আমার অফিসে এসে বসলেন। মনে হলো, আমার অফিসে আসার আগে উনি কোনো বিষয় নিয়ে কারো সাথে কথা বলছিলেন। উত্তেজনাটা সেখানেই ঘটেছে। বাংলা একাডেমির একজন সিনিয়র অফিসার হিসেবে নিজের পরিচয় দিলেন। আরও জানালেন, বাজারে উনার লেখা এবং অনুবাদ করা অনেক বই আছে। বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য এবং সংস্কৃতি জগতের একজন সিনিয়র মোড়ল বলেও নিজেকে তুলে ধরলেন। ধরা যাক ভদ্রলোকের নাম মাসুদ সাহেব। কোনো প্রকার ভূমিকা না করে মাসুদ সাহেব বললেন: তাঁর ছেলে ক্লাস নাইনে পড়ে। তাকে জোর করে কলেজ কর্তৃপক্ষ মসজিদে নিয়ে নামাজ পড়তে বাধ্য করছে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, প্রতিদিন মাগরিবের ওয়াক্তে সকল মুসলমান ছেলেদের জন্য সারিবদ্ধ হয়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক। একইভাবে শুক্রবার জুমার নামাজ মসজিদে গিয়ে আদায় করা বাধ্যতামূলক। অন্যান্য ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়ার জন্য প্রত্যেক হাউসে প্রেয়াররুম আছে। মাসুদ সাহেব পবিত্র কুর’আনের সুরা বাকারার ২৫৬ নম্বর আয়াতের প্রথম অংশ উদ্ধৃত করে বললেন, ইসলামে ধর্ম নিয়ে জবরদস্তি নেই। যার খুশি সে নামাজ পড়বে। যার খুশি সে পড়বে না। তিনি আরও বললেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে কাউকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে নামাজ পড়ানো যাবে না। ভদ্রলোক একই আয়াতের ঠিক পরের অংশটি বেমালুম চেপে গেলেন, যেমনটি আমাদের দেশের একধরনের সেকুলারিস্ট রাজনৈতিক নেতারা করে থাকেন। এধরনের লোকদের সাথে তর্ক করে লাভ হয় না। আমি আমার অফিস সুপারিনটেনডেন্ট নাজির সাহেবকে বললাম মাসুদ সাহেবের ছেলের পার্সোনাল ফাইল আনতে। ফাইলের একেবারের প্রথম পাতাটি ছিলো দু’বছর আগে পাঠানো তাঁর ছেলের ভর্তির দরখাস্ত। যার নিচের দিকে মাসুদ সাহেবের নিজের দস্তখত। দরখাস্তে প্রার্থীর ধর্ম হিসেবে ‘ইসলাম’ কলম দিয়ে লেখা ছিলো। আমি কথা না বাড়িয়ে দরখাস্তটি মাসুদ সাহেবের দিকে এগিয়ে দিয়ে বরলাম, ‘ইসলাম’ কথাটি কেটে দিন। পরিবর্তে ‘নাস্তিক’ বা ‘নাই’ যা খুশি লিখে নিচে আজকের তারিখসহ ইনিশিয়াল করে দিন। আপনার ছেলেকে আর আমি জোর করে নামাজ পড়তে নেবো না। ভদ্রলোক মনে হলো বজ্রাহত হলেন। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, তা কি সম্ভব ? আমি বললাম, যদি সম্ভব না হয়, তাহলে দয়া করে এবার যান। আমাকে আমার কাজ করতে দিন। মাসুদ সাহেব আর কথা না বাড়িয়ে উঠে গেলেন। এই ঘটনার পর কোনো পেরেন্টস ডে’তে ওনার সাথে আর দেখা হয়েছে বলে পড়ে না। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর ক্যাডেট কলেজকে লোকচোখে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কিছু মতলববাজ লোক এক ধরনের প্রপাগান্ডা শুরু করে। তারা বলতে শুরু করে, নতুন সংবিধানে সেকুলারিজম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুতরাং স্কুলের বাচ্চাদের আর ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ক্যাডেট কলেজসহ সকল স্কুল থেকে অবিলম্বে ধর্মীয় শিক্ষা উঠিয়ে দেওয়া হোক। সংবিধানে যা-ই লেখা থাক না কেনো, বাস্তব সত্য হচ্ছে, একজন মুসলমান আল্লাহ কর্তৃক নির্দেশিত এবং রাসুল পাক (সা:) কর্তৃক প্রদর্শিত পথে আল্লাহর ইবাদত করেন। নিজে নামাজ-রোজা করেন, সন্তানকে নামাজ-কালিমা শেখান। পিতামাতা বা কারো মৃত্যু হলে তাঁর জন্য জানাযা পড়েন, দোয়া করেন। শতকরা নব্বইভাগ মুসলমানের দেশে এসবই তো স্বাভাবিক। কীভাবে এসব কতর্ব্য পালন করতে হয়, অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে ইসলাম চর্চা করতে হয় এবং তার অনুশাসন মেনে চলতে হয়, তা একজন মুসলমানের সন্তানকে শিশুকাল থেকে শিক্ষা দেওয়া অতীব জরুরি। কয়েক যুগ আগে নিজ বাড়িতে ধর্মীয় শিক্ষক রেখে, অথবা নিকটস্থ মকতবে পাঠিয়ে মুসলমানের শিশু সন্তানদের এসব শেখানো হতো। আজকাল নানা কারণে পিতামাতার পক্ষে এই দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই সংগত কারণে সেই দায়িত্ব রাষ্ট্র নিজে গ্রহণ করেছে। স্কুল পর্যায়ে তাই ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শুধু ইসলাম নয়, অন্য ধর্মালম্বীদের সন্তানদেরও নিজনিজ ধর্ম শিক্ষার ব্যবস্থা স্কুলে রাখা হয়েছে। ক্যাডেট কলেজেও ইসলামসহ সকল ধর্ম শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। নৈতিক শিক্ষাকে সব সময় সাধারণ শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে ধরা হয়। নৈতিক শিক্ষা ছাড়া শিক্ষা কখনও পূর্ণতা লাভ করে না। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য একটি মানব শিশুকে আলোকিত মানুষে, পরিপূর্ণ মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে মানুষের নৈতিক গুণাবলী নাই তাকে আর যা-ই বলা যায় না কেনো, আলোকিত বা পরিপূর্ণ মানুষ বলা যায় না। পৃথিবীর সকল সমাজে ধর্মীয় শিক্ষাকে, শিক্ষক থেকে ছাত্রের মধ্যে, নৈতিক শিক্ষা স্থানান্তরের সর্বোৎকৃষ্ট কনডুইট (Conduit) বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যেসব লোক স্কুল থেকে ধর্মীয় শিক্ষার মূলোৎপাটন করতে চান তাঁরা নৈতিক শিক্ষা প্রদানের কনডুইটের বিকল্প হিসেবে স্কুল পর্যায়ে কী ব্যবহার করবেন, তা কিন্তু বলেন না। ধর্মীয় শিক্ষার নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক গুরুত্ব ছাড়াও সামাজিক গুরুত্ব অপরিসীম। ধরা যাক, আমাদের দেশে মুসলমান বলে পরিচিত একজন লোক কোনো প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় পদে আছেন। তিনি হতে পারেন বেসামরিক বা সামরিক সার্ভিসের অফিসার, অথবা কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একজন বড়কর্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানের কেউ একজন মারা গেলো। কর্তাব্যাক্তিটি এই বলে জানাযায় যোগ দিলেন না যে, তিনি জানাযার নামায পড়তে জানেন না। তা হলে ঐ প্রতিষ্ঠানের লোকেরা কি তাঁকে মনেপ্রাণে নেতা হিসাবে মেনে নিতে পারবেন ? নিশ্চয়ই না। মাসুদ সাহেবের কথা শোনার পর থেকে অনেকদিন বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি। বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করেছি। আসলে ইংরেজি সেকুলারিজম শব্দটির অর্থ কি ? ধর্মনিরপেক্ষতা না ধর্মহীনতা ? যদি ধর্মহীনতা হয়, তাহলে অর্থ খুব পরিষ্কার। সেকুলার সমাজে বা রাষ্ট্রে ধর্মের কোনো স্থান নেই। সহজ কথা। এ নিয়ে অতিরিক্ত আলোচনার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি অর্থ হয় ধর্মনিরপেক্ষতা, তা হলে বিষয়টি অবশ্যই বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। ধরা যাক, আমাকে বলা হলো: ইসলামধর্ম, সনাতনধর্ম, খৃষ্টধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, এসবের মধ্য থেকে যেকোনো একটি ধর্ম পসন্দ করে নেও। বলা বাহুল্য, একজন মুসলমান হিসেবে ইসলামই হবে আমার শেষ এবং একমাত্র চয়েস। একইভাবে একজন হিন্দু, খৃষ্টান বা বৌদ্ধ নিজনিজ ধর্মকে বেছে নিবেন। এখানে তো কারো পক্ষে নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ নেই। তাহলে কথাটা দাড়ালো, সেকুলারিজমের অর্থ ধর্মনিরপেক্ষতা করা যায় না। আজকাল কেউ কেউ সেকুলারিজমের অর্থ অসাম্প্রদায়িকতা বলে চালাবার চেষ্টা করছেন। আমি মনে করি, সেটাও ঠিক নয়। ধর্ম আর সম্প্রদায় এক কথা নয়। একই ধর্মের মধ্যে একাধিক সম্প্রদায় বিরাজ করে। পশ্চিমা বিশ্বে, এমন কি আমাদের পাশের দেশ ভারতে, সেকুলারিজম বলতে সকল ধর্মের সমান মর্যাদা ও গুরুত্বকে বুঝানো হয়। সঠিক অর্থ প্রকাশ করা জন্য এর বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে ‘ পরধর্মসহিষ্ঞুতা’ বলা যেতে পারে। আশা করি, যাঁরা বাংলাভাষার শব্দ বা ওয়ার্ডের উৎস এবং অর্থ নিয়ে গবেষণা করেন ( Etymologist) তাঁরা যদি একটি যুৎসই প্রতিশব্দ চালু করতে পারেন তাহলে সেকুলারিজমের অর্থ নিয়ে সকল বিভ্রান্তি দূর হবে। আজকের পর্ব শেষ করার পূর্বে আমাদের দেশের সেকুলারিজমের অন্ধ ভক্তদের উদ্দেশ্যে কয়েকটি কথা নিবেদন করতে চাই। ১৯৭৬ সনের ২২ সেপ্টেম্বর তারিখে আমি, আরও দু’জন সহকর্মীর সাথে, প্রথম চীনদেশে যাই। ১৯৭১ সনে দেশ স্বাধীন হবার আগে ইসলামাবাদে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেজ নামক প্রতিষ্ঠানে সরকারি ব্যবস্থায় দেড় বছর চীনা ভাষা পড়াশুনা করি। যুদ্ধ শুরু হবার কারণে পাকিস্তানিরা আমাদের তিনজন বাংগালিকে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে না দিয়ে প্রথমে বিভিন্ন ইউনিটে, পরে বন্দিশিবিরে পাঠিয়ে দেয়। চীন কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরপরই বাংলাদেশ আর্মি আমাদের তিনজনকে চীনা বৃত্তির অধীনে সে দেশে চীনা ভাষার কোর্সটি শেষ করে ডিগ্রি নেবার জন্য পাঠিয়ে দেয়। মূল কোর্স তিন বছরের হলেও পূর্ববর্তী পাঠকাল বিবেচনা করে দশ মাসের একটি সেসনের পর আমাদের তিনজনকে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়টি ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেবার অনুমতি দেয়। আগের থেকে চীনা ভাষায় অনেকটা দক্ষতা থাকার কারণে সেখানে পৌছে, ইন্টারপ্রেটরের মাধ্যমে নয়, আমরা নিজেদের চোখ-কান দিয়ে চীনা সমাজ এবং রাষ্ট্রকে দেখতে পেরছি। সর্বপ্রথম যে বিষয়টা আমাদের মনে গভীর রেখাপাত করলো, তা হলো নিজেরা কট্টর কম্যুনিস্ট হওয়া সত্বেও অন্যের ধর্মের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধ। আমাদের ক্যাফেটেরিয়ায় মুসলমান ছাত্রদের জন্য আলাদা ডাইনিং হল ছিলো। যেখানে মুসলমান শেফ দিয়ে রান্না করা একমাত্র হালাল খাবার পরিবেশন করা হতো। তখন এবং পরবর্তীকালে চীনে থাকার সময় চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক শহর এবং গ্রাম ভিজিট করেছি। সবখানে একই রকম অবস্থা দেখেছি। মসজিদসহ সকল ধর্মের উপাসনালয় রাষ্ট্রের টাকায় চালানো হচ্ছে। সরকারি কোষাগারের অর্থ দিয়ে কুর’আন শরীফ ছাপিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে, মসজিদের ইমামদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। এমনকি সরকারি টাকায় প্রতি বছর মুসলমানদের হজ্জ করতে পাঠানো হচ্ছে। ইসলাম সম্বন্ধে পড়াশুনা করার জন্য ইমামদের মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে। ছোটোবড় সকল শহরে হালাল গোস্তের দোকান রয়েছে। প্রায় সব রেস্টুরেন্টে হালাল খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা রয়েছে, যা রেস্টুরেন্টের বাইরে সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে। একবার বিশেষ ট্রেনে করে আমাদের কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। পথে খাবারের জন্য একটি স্টেশনে ট্রেন থেমেছিলো। আমরা কিছু মুসলমান যাত্রী খাবার শেষ হলে ওয়াক্তিয়া নামাজের জন্য প্ল্যাটফর্মের উপর দাঁড়ালাম। চীনারা বিন্দুমাত্র বিরক্তি প্রকাশ না করে নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে পরে ট্রেন ছাড়লো। আরেকবার, তখন আমি আমাদের পেইচিং দূতাবাসে চাকুরি করি, রমজান মাসে পেইচিং থেকে অনেক দূরে এক শহরে কাজে গিয়েছি। সেখানে পৌছার পর আমার হোস্টকে জানালাম, আমি রোজা রাখছি, শেষরাতে সেহরির ব্যবস্থা করা যাবে কিনা। হোস্ট, পিএলএ’র একজন কর্নেল, হেসে দিয়ে বললেন, আমি তোমাদের রোজা সম্বন্ধে জানি। আমার ইউনিটে কিছু মুসলিম সোলজার আছে যারা নিয়মিত রোজা রাখে। তুমি এ নিয়ে ভেবো না। ভোর রাতে দরজায় নক্ শুনে জেগে দেখলাম মেসের দু’জন কর্মীকে সাথে নিয়ে চীনা কর্নেল সাহেব ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় নিজে সেহরির খাবার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। এ দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেলাম। কর্নেল সাহেব অনুমতি নিয়ে ঘরে এসে টেবিলে খাবার সাজিয়ে রেখে চলে গেলেন। যাবার সময় বলে গেলেন, সকাল বেলা প্লেট-পেয়ালা নিয়ে যাবেন। দু’তিন দিন সেখানে ছিলাম। প্রতিদিন সেহরি এবং ইফতারির সময় একইভাবে আমাকে খাবার সার্ভ করা হয়েছিলো। কম্যুনিস্ট দেশের মানুষের অপরের ধর্মের প্রতি সম্মান দেখার পর আমার দেশে মুসলমানের ঘরে জন্ম নেয়া সেকুলারিজমের ফেরিওয়ালাদের কথা শুনে ভাবি, এরা আসলে কী চায় ?

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]



<< Home